সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আবারো একটি নতুন পোস্টে সবাইকে স্বাগতম৷ আজকে আমাদের পোষ্টের আলচ্য বিষয় হচ্ছে সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ৷ বর্তমান সময় এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে সাইবার ক্রাইম একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যার কারণে অনেকের অনেক রকম ক্ষতি হচ্ছে৷ আর এই সাইবার ক্রাইম এর আইন বাংলাদেশ বিষয় আজকে আমরা জানবো৷
সাইবার-ক্রাইম-আইন-বাংলাদেশবর্তমান ডিজিটাল যুগের সাইবার অপরাধ প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ কারণেই বাংলাদেশী সরকার ২০২৫ সালে নতুন একটি আদেশ জারি করেছে যার নাম সাইবার সুরক্ষা ও দাহাদেশ ২০২৫ সালের বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে প্রাণিত হয় এবং এতে কয়েকটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে যা অনলাইন অপরাধ এবং সাইবার হুমকি প্রতিরোধ কার্যকর৷ তাহলে আর দেরি কিসের চলুন আজকের মূল বিষয় সম্পর্কে জানা যায়৷ আশা করছি পুরো পোস্টটি পড়ার পর আপনারা খুব সহজেই জানতে পারবেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম আইন৷

পেজ সূচিপত্র: সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ

গুরুত্বপূর্ণ ধারা অনুযায়ী অপরাধ ও শাস্তি

  • ধারা ১৫ সরকারি তথ্য অবৈধভাবে প্রবেশ বা বাস করা
যদি কেউ সরকারের সংবেদনশীল বা শ্রেণি বাধ্য তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে চুরি বা পাস বা পরিবর্তন করে তাহলে তার শাস্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ড দেওয়া হয়
  • ধারা ১৮ অননুমোদিত প্রবেশ (হ্যাকিং)
কোন ব্যক্তি যদি অনুমতি ব্যতি রেখে কোন কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে বা ক্ষতি করে, তাহলে তার শাস্তি হবে তিন বছর পর্যন্ত কার দণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা৷
  • ধারা ২১ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা
যদি কেউ ইলেকট্রনিক্স উপায়ে ভুয়া পরিচয় কাগজপত্র বা অর্থনৈতিক লেনদেন জাল করে, তাহলে তার শাস্তি হবে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড৷
  • ধারা ২৬ ধর্মীয় বা জাতিগত উস্কানি
ধর্ম,-বর্ণ জাতি বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষের ছড়ানো তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করা এ সকল কাজের জন্য শাস্তি দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা৷
  • ধারা ২৮ যৌন হয়রানি ও ব্যক্তিগত ছবি ভিডিও অপব্যবহার
ব্যক্তিগত ছবি ভিডিও ও অনুমতি ছাড়া প্রকাশ বিকৃতি বা ব্ল্যাকমেল করলে, তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে পাঁচ বছর পর্যন্ত 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা৷
  • ধারা ৩২ জাতীয় নিরাপত্তা বিভিন্ন ঘটানো
সাইবার মাধ্যমে দেশে জাতীয় নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত যদি করা হয় তাহলে তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে, ৬০ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারদণ্ড এবং আর্থিক জরিমানা৷

সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩

সাইবার অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ বাতিল করে সাইবার নিরাপত্তা ২০২৩ নামে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেন৷
২০২৩ এর সাইবার অপরাধ দমন আইনকে পরিবর্তন করে ২০২৫ এর নতুন ভাবে পরিবর্তন করেছি৷ এবং ২০২৫ সাইবার নিরাপত্তা নাম রেখেছে৷

মুক্তিযুদ্ধ ও প্রতীক অবমাননা ধারা ২১

সাইবারের পাতা ২০২৩ এর ২১ ধারা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি ইলেকট্রিক মাধ্যম ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা৷

জাতিসংঘের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিশেষ বিশেষ বিভ্রান্তি বা কু সমালোসাম্যক প্রচারণা চালায় তাহলে তিনি পাঁচ বছর কারাদণ্ডে বা এক কোটি টাকাঅর্থদণ্ডে বা উভায়দন্ডে দণ্ডিত হবে৷

ডিজিটাল অপমান ও বিভ্রান্তি ধারা ২৫

এই আইনের 25 ধারা অনুসারে যদি কোন ডিজিটার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে অপর কোন ব্যক্তিকে বিরক্ত অপমান অপদস্ত বা হেই প্রতিপন্ন করায়৷
অভিপ্রায় এমন কোন তথ্য উপাত্ত প্রেরণ প্রকাশ বা প্রচার করেন যা আক্রমণাক্ত ভীতি প্রদর্শন অথবা মিথ্যা তবে তিনি দুই বছর কারন দিয়ে বা তিন লক্ষ টাকার অর্থদণ্ডে বা উভয়ের দন্ডে দণ্ডিত হবে৷সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ

রাষ্ট্রের সুনাম ক্ষতি ধারা ২৫

ডিজিটাল প্লাট ফরমে রাষ্ট্রের ভাব মূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করা বা বিভ্রান্তি ছড়ানো ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এই আইনের ২৫ ধারায় আরো বলা আছে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করাই
বা বিভ্রান্তি ছড়াবার বা তদু দেশে অপপ্রচার বা মিথ্যা বলে থাকা সত্ত্বেও কোন তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করতে সহায়তা করেন তবে তিনি দুই বছর কারাদণ্ড এবং এর পাশাপাশি তিন লক্ষ টাকা অর্থে বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হবে৷

সাইবার সন্ত্রাস বা দন্ড ধারা ২৭

রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা এবং জনগণের মধ্যে ভয়-ভীতি সঞ্চয় করা অভিপ্রায়ে কোন ব্যক্তি কোন সাইবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠন করলে ১৪ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকার অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দন্দিত করা হবে তাকে৷সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ

সাইবার-ক্রাইম-আইন-বাংলাদেশ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ধারা ২৮

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ভাড়া ২৮ এই আইনে 28 ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোন তথ্য প্রকাশ প্রচার বা সম্প্রচার করেন তবে তিনি অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক 5 লক্ষ টাকার দন্ডে দন্ডিত হবে এমনকি দুটি হবেন৷সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ

ডিজিটাল মানহানি ধারা ২৯

ডিজিটাল মাধ্যমে কারো বিরুদ্ধে মানাহানি কর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করা ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় মানহানির ঠোঙ্গা দেওয়া আছে৷সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ
উক্ত সংঘাস অনুসারে জেনে বুঝে যদি কোন ব্যক্তি এমন কোন কথা বলে বা কোন লেখাচিত্র প্রকাশ করে যা অন্য কোন ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করতে করে তাহলে উক্ত ব্যক্তি মানহানি করেছে বলে গণ্য হবে আইন ২৯ ধারা অনুসারে মানহানি অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা৷

সাম্প্রদায়িক অবনতি ধারা ৩১

আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো ঘৃণা বা বিশেষ সৃষ্টি করা বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিশিষ্ট করা ইত্যাদি শাস্তির বিষয়ে ৩১ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে এই আইনের একটি ধারা অনুযায়ী

যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ঘৃণা বা বিশেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্পত্তি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয় তাহলে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ
যদি কোন ব্যক্তি উপধারা একের অধীন কোন অপরাধ সংগঠন করেন তাহলে হইলে তিনি অনেক অপরাধ সংগঠন করেন তাহলে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লক্ষ টাকা অর্থ অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে৷

ক্ষতিপূরণ ও মিথ্যা মামলা বিধান

২০২৩ সালের নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে পাশাপাশি যদি কোন ব্যক্তি অন্যের ক্ষতি করার অভিপ্রায় এই আইনে কোন ধারা অন্যের অধীনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে৷

হ্যাকিং ধারা ৩২

সাইবার সন্ত্রাসীর কার্যক্রমের মতে হ্যাকিং ও একটি শাস্তিযোগ্য ও জামিন অযোগ্য ধারার অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয়৷ অত্র আইনে ৩২ ধারা বলা হয়েছে

যদি কোন ব্যক্তি হ্যাকিং করে তবে তা হবে একটি অপরাধ এবং তথ্যনাথ তিনি অনিধিক ১৪ বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা দুটি দন্ডিত হবেন৷

শেষ কথাঃ সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সাইবার অপরাধ রোদে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে অবমান বিভ্রান্তি রাষ্ট্রের সুনাম ক্ষতীব ধর্মীয় অবমাননা শাস্তিযোগ্য হ্যাকিং সাইবার সন্ত্রাস ও মানহানি ও কঠোর দন্দনীয় অপরাধ আইনটি ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়ের শাস্ত্রীয় নিশ্চিত করে৷ সাইবার নিরাপত্তা আইন 2023 ডিজিটাল প্লাটফর্মী নিরাপত্তা নাই ও সামাজিক শাস্ত্রী রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷
সাইবার-ক্রাইম-আইন-বাংলাদেশ
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বা সম্পূর্ণভাবে জানতে পেরেছেন যে সাইবার ক্রাইম আইন বাংলাদেশ বিষয় এ৷ পুরো পোষ্টটি পড়ার পরে আশা করছি আপনারা অনেক উপকারিতা হয়েছেন৷ প্রতিনিয়ত এরকম তথ্যভিত্তিক পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন৷ পুরো পোস্টটি পড়ার পর আপনার যদি কোন মতামত থাকে তাহলে আমাদের যোগাযোগ এতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন" ধন্যবাদ"




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url